বর্তমান সময়ের তরুণদের চুলের নানা ছাট-কাট দেখা যায়। আবার হেয়ার স্টাইল কেমন হবে তা নিয়েও ভাবনার যেন শেষ নেই।শুধু সময়ের সঙ্গে তাল মেলালেই চলবে না; মুখের আকার, চুলের ধরন বুঝে বেছে নিতে হবে মানানসই হেয়ার স্টাইল। হেয়ারোবিক্সের হেড অব অপারেশনস তানজিমা শারমীন জানালেন এ সময়ে ছেলেদের চুলের স্টাইলের খুঁটিনাটি।
মেসির মতো
সামনেই বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার ফুটবলার মেসির মতো করে চুলের স্টাইল করতে চান অনেকেই। একটু লম্বা, এলোমেলো—এ ধরনের চুলের স্টাইলের নামই হয়ে গেছে ‘মেসি লুক।’ কয়েক রকম চুলের স্টাইলে মেসি লুক ভালো লাগে, যেমন—মোহক, লেয়ারড, চপি ইত্যাদি। চুলে রং করিয়ে মেসি লুক আরও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়।
সামনেই বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার ফুটবলার মেসির মতো করে চুলের স্টাইল করতে চান অনেকেই। একটু লম্বা, এলোমেলো—এ ধরনের চুলের স্টাইলের নামই হয়ে গেছে ‘মেসি লুক।’ কয়েক রকম চুলের স্টাইলে মেসি লুক ভালো লাগে, যেমন—মোহক, লেয়ারড, চপি ইত্যাদি। চুলে রং করিয়ে মেসি লুক আরও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়।
ঢেউ খেলানো
চুলে একটু ঢেউ খেলানো যেতে পারে। এটি করাও বেশ সহজ। ওয়েভি হেয়ার স্টাইলে চুল অনেক ঘন দেখায়।
চুলে একটু ঢেউ খেলানো যেতে পারে। এটি করাও বেশ সহজ। ওয়েভি হেয়ার স্টাইলে চুল অনেক ঘন দেখায়।
ক্ল্যাসিক ট্যাপার
ক্ল্যাসিক ট্যাপার হেয়ার স্টাইল নিতে হলে থাকতে হবে মাঝারি লম্বা চুল। এই স্টাইল করতে মাথার পেছনে ও কানের ওপরের চুল খাটো করে কাটা হয়। কিন্তু কপালের চুল রাখা হয় লম্বা, যাতে চুলগুলো কপালের ওপর ছড়িয়ে রাখা যায় অথবা ব্যাক ব্রাশ করা যায়।
ক্ল্যাসিক ট্যাপার হেয়ার স্টাইল নিতে হলে থাকতে হবে মাঝারি লম্বা চুল। এই স্টাইল করতে মাথার পেছনে ও কানের ওপরের চুল খাটো করে কাটা হয়। কিন্তু কপালের চুল রাখা হয় লম্বা, যাতে চুলগুলো কপালের ওপর ছড়িয়ে রাখা যায় অথবা ব্যাক ব্রাশ করা যায়।
ইমো
এর জন্য মাঝারি লম্বা চুল থাকা প্রয়োজন। ইমো স্টাইল করতে অনেকটা এলেমেলোভাবে চুল কাটা হয়। কিন্তু সামনের চুল বড় রাখা হয়। আর মাথার পেছনের চুল স্পাইক স্টাইলে ছোট রাখা হয়। সামনে এবং কানের পাশের বড় চুলগুলো মুখমণ্ডলের ওপর প্রায় ছেয়ে থাকে। এটিকে ‘ইমো সুইপ’ বলে। অল্প বয়সীদের মধ্যে এমন চুল বেশ জনপ্রিয়।
এর জন্য মাঝারি লম্বা চুল থাকা প্রয়োজন। ইমো স্টাইল করতে অনেকটা এলেমেলোভাবে চুল কাটা হয়। কিন্তু সামনের চুল বড় রাখা হয়। আর মাথার পেছনের চুল স্পাইক স্টাইলে ছোট রাখা হয়। সামনে এবং কানের পাশের বড় চুলগুলো মুখমণ্ডলের ওপর প্রায় ছেয়ে থাকে। এটিকে ‘ইমো সুইপ’ বলে। অল্প বয়সীদের মধ্যে এমন চুল বেশ জনপ্রিয়।
ছোট চুলের স্টাইল
একদমই ছোট চুল রাখতে চান যাঁরা তাদের জন্য আছে ক্রু কাট, ক্ল্যাসিক কাট, স্পাইক হেয়ার স্টাইল ইত্যাদি। ক্রু কাটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মাথার পেছনের ও পাশের চুল খুব ছোট করে ছাঁটা হয়, কিন্তু ওপরের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা বড় ও খাড়া করে রাখা হয়। ক্রু-কাট পরিচর্যা করা খুব সহজ। সাধারণত ক্রু-কাট দুই রকম হয়ে থাকে—এক্সট্রা শর্ট এবং হাই অ্যান্ড টাইট। ক্ল্যাসিক কাটে মাথার একপাশে সিঁথি করে চুল আঁচড়ানো হয়। চুলের দৈর্ঘ্য কতখানি হবে তা নির্ভর করে ব্যক্তিত্বের ওপর। আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে এই চুলের স্টাইল বেশ মানানসই। স্পাইক হেয়ার স্টাইল অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যে জনপ্রিয়। হেয়ার জেল ব্যবহার করে সামনের দিকের চুলগুলো একটু খাড়া করে রাখা হয়।
একদমই ছোট চুল রাখতে চান যাঁরা তাদের জন্য আছে ক্রু কাট, ক্ল্যাসিক কাট, স্পাইক হেয়ার স্টাইল ইত্যাদি। ক্রু কাটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মাথার পেছনের ও পাশের চুল খুব ছোট করে ছাঁটা হয়, কিন্তু ওপরের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা বড় ও খাড়া করে রাখা হয়। ক্রু-কাট পরিচর্যা করা খুব সহজ। সাধারণত ক্রু-কাট দুই রকম হয়ে থাকে—এক্সট্রা শর্ট এবং হাই অ্যান্ড টাইট। ক্ল্যাসিক কাটে মাথার একপাশে সিঁথি করে চুল আঁচড়ানো হয়। চুলের দৈর্ঘ্য কতখানি হবে তা নির্ভর করে ব্যক্তিত্বের ওপর। আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে এই চুলের স্টাইল বেশ মানানসই। স্পাইক হেয়ার স্টাইল অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যে জনপ্রিয়। হেয়ার জেল ব্যবহার করে সামনের দিকের চুলগুলো একটু খাড়া করে রাখা হয়।
লম্বা চুলের নানা স্টাইল
ঘন লম্বা চুলের হেয়ার স্টাইল: মাথার চুল লম্বা থাকলে তা বিভিন্নভাবে স্টাইল করে রাখা যায়। দুই কাঁধের ওপর ছড়িয়ে রাখা যায়। চুলের ধরন সোজা অথবা কোঁকড়া যা-ই হোক, পনিটেল করে রাখলেও সুন্দর লাগে। আবার কিছুটা চুল খোলা রেখে অল্প চুল নিয়ে এলোমেলো ঝুঁটিও করা যায়।
ঘন লম্বা চুলের হেয়ার স্টাইল: মাথার চুল লম্বা থাকলে তা বিভিন্নভাবে স্টাইল করে রাখা যায়। দুই কাঁধের ওপর ছড়িয়ে রাখা যায়। চুলের ধরন সোজা অথবা কোঁকড়া যা-ই হোক, পনিটেল করে রাখলেও সুন্দর লাগে। আবার কিছুটা চুল খোলা রেখে অল্প চুল নিয়ে এলোমেলো ঝুঁটিও করা যায়।
পাতলা চুল যাঁদের
মাথার চুল ঘন না হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। একটু ভেবেচিন্তে চুলের স্টাইলটি নিতে হবে, আর তা পরিচর্যা করতে হবে। পাতলা চুল যাঁদের, অবশ্যই তাঁরা ছোট চুলের হেয়ার স্টাইল নেবেন।
মাথার চুল ঘন না হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। একটু ভেবেচিন্তে চুলের স্টাইলটি নিতে হবে, আর তা পরিচর্যা করতে হবে। পাতলা চুল যাঁদের, অবশ্যই তাঁরা ছোট চুলের হেয়ার স্টাইল নেবেন।
কোন মুখে কেমন চুল
গোলাকার
এমন কোনো হেয়ার স্টাইল নির্বাচন করা উচিত নয়, যাতে পুরো মাথাটি আরও গোলাকার দেখায়। আর চুল কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন কানের দুই পাশের অংশ একটু চাপা দেখায়। মাথার ওপরের ও সামনের অংশের চুল অপেক্ষাকৃত বড় ও খাড়া রাখতে হবে।
এমন কোনো হেয়ার স্টাইল নির্বাচন করা উচিত নয়, যাতে পুরো মাথাটি আরও গোলাকার দেখায়। আর চুল কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন কানের দুই পাশের অংশ একটু চাপা দেখায়। মাথার ওপরের ও সামনের অংশের চুল অপেক্ষাকৃত বড় ও খাড়া রাখতে হবে।
ডিম্বাকৃতি
বেশির ভাগ হেয়ার স্টাইলই ডিম্বাকৃতি মুখমণ্ডলের সঙ্গে মানিয়ে যায়।
বেশির ভাগ হেয়ার স্টাইলই ডিম্বাকৃতি মুখমণ্ডলের সঙ্গে মানিয়ে যায়।
হীরক আকৃতি
এটিকে ডায়মন্ড শেপ বলে। এই মুখের অধিকারীদের গালের হাড় বেশ চওড়া হয়। তাই হেয়ার স্টাইল নেওয়ার সময় কপাল ও থুতনির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন চুলের স্টাইল নিতে হবে, যাতে গালের হাড় ছোট দেখায়। কপালের ওপরের চুলগুলো ব্যাংগস করে কেটে রাখা যেতে পারে।
এটিকে ডায়মন্ড শেপ বলে। এই মুখের অধিকারীদের গালের হাড় বেশ চওড়া হয়। তাই হেয়ার স্টাইল নেওয়ার সময় কপাল ও থুতনির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন চুলের স্টাইল নিতে হবে, যাতে গালের হাড় ছোট দেখায়। কপালের ওপরের চুলগুলো ব্যাংগস করে কেটে রাখা যেতে পারে।
আয়তাকার
আয়তাকার বা ডিম্বাকার মুখ সাধারণত লম্বাটে ও বড় দেখায়। তাই এমন হেয়ার স্টাইল নির্বাচন করা উচিত, যেন মুখটি যত দূর সম্ভব ছোট দেখানো যায়। লেয়ার হেয়ার কাটিং আয়তাকার মুখের জন্য সবচেয়ে ভালো নির্বাচন।
আয়তাকার বা ডিম্বাকার মুখ সাধারণত লম্বাটে ও বড় দেখায়। তাই এমন হেয়ার স্টাইল নির্বাচন করা উচিত, যেন মুখটি যত দূর সম্ভব ছোট দেখানো যায়। লেয়ার হেয়ার কাটিং আয়তাকার মুখের জন্য সবচেয়ে ভালো নির্বাচন।
ত্রিভুজাকার
মুখমণ্ডলের এই আকৃতিকে হার্ট শেপও বলা যায়। সরু চিবুক আর চওড়া কপাল হলে তাকে ত্রিভুজাকার মুখ বলা হয়। মাথার পেছনের চুল একটু বড় ও ফুলানো থাকলে ভালো হয়। এই রকম মুখের আকৃতিতে গালভরা খোঁচা খোঁচা দাড়ি রাখলে মন্দ হয় না।
তানজিমা শারমীন বলেন, হেয়ার স্টাইল নেওয়ার আগে অবশ্যই ভালো কোনো রূপ-বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
মুখমণ্ডলের এই আকৃতিকে হার্ট শেপও বলা যায়। সরু চিবুক আর চওড়া কপাল হলে তাকে ত্রিভুজাকার মুখ বলা হয়। মাথার পেছনের চুল একটু বড় ও ফুলানো থাকলে ভালো হয়। এই রকম মুখের আকৃতিতে গালভরা খোঁচা খোঁচা দাড়ি রাখলে মন্দ হয় না।
তানজিমা শারমীন বলেন, হেয়ার স্টাইল নেওয়ার আগে অবশ্যই ভালো কোনো রূপ-বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।