--------সেলফি তোলার ১৩ টি টিপস-----------


সেলফি অর্থাৎ নিজে নিজের ছবিটা তুলে ফেলা। এখন তো অক্সফোর্ড ডিকশনারিতেও জায়গা করে নিয়েছে সেলফি। বর্তমানে সেলফি ছবি তোলাটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারও আশায় বসে না থেকে নিজে নিজের ছবিটা তুলে ফেলেন প্রায় সকলেই। যেখানে যেভাবে আছেন সেলফি তুলে তা ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দেয়াটা যেন চাই-ই চাই। তবে সবার সেলফি কি দারুণ হয়? সবসময় হয় মনের মতন? আসুন, জেনে নেই দারুণ একটা সেলফি তোলার ১৩টি কার্যকরী টিপস।

আকর্ষণীয় সেলফি তুলতে চান? জেনে নিন ১৩টি কার্যকারী টিপস

১. আপনি যদি ভালো একটি সেলফি ছবি তুলতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রেমের বিষয়টি বুঝতে হবে। আপনার মোবাইলটিকে ঠিক কোন অ্যাঙ্গেলে ধরলে ফ্রেমটা ঠিকভাবে আসবে তা ভালো করে খেয়াল করে নিন। নিজেকে কতটুকু দেখা চান, সেটাও ভেবেই ক্যামেরা ধরুন। এর জন্য বেশ কয়েকটি অনুশীলন সেলফি তুলে প্র্যাকটিস করে নিন। এরপরে চেষ্টা করুন ভালো একটি সেলফি তোলার।
২. একেবারে কাছে থেকে কোনো সেলফি তুলতে চাইলে ভালো করে খেয়াল করুন যে আপনার দুটো চোখই ফ্রেমের মাঝে আছে কি না। এমনও হতে পারে যে একটি মাত্র চোখ ফ্রেমে আরেকটি ফ্রেমের বাহিরে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে সেলফি তুলুন।
৩. সেলফি তোলার সময়ে এক্সপ্রেশনটি দারুণ এবং বেশ কিছুক্ষণ এক্সপ্রেশনটি ধরে রাখার চেষ্টা করুন। না হলে ছবিটি নষ্ট হয়ে যাবে। এতে করে হয় আপনার চোখ বন্ধ হয়ে আসবে নয়তো ছবিটি ঝাপসা হয়ে যাবে। এক্সপ্রেশন স্থির রেখে ছবি তুলতে পারাটাই সেলফির প্রথম উদ্দেশ্য।
৪. ভালো সেলফি তোলার একটি কার্যকরী টিপস হলো, আপনি কখনই একেবারে সোজা থেকে ছবিটি তুলবেন না। এর জন্য মুখের যেকোনো একটি সাইড বাছাই করুন। একটি গালের অংশকে প্রাধান্য দিন। এক্ষেত্রে চিবুকটিকে একটু নিচু করুন। একদম সোজা তুললে সেলফি না, পাসপোর্ট সাইজ ছবি মনে হবে।
৫. সেলফি যেখানেই যেমন অবস্থাতেই তুলুন না কেন, নারীরা এর আগে অবশ্যই হালকা মেকআপকে প্রাধান্য দেবেন। কেননা একেবারে মেকআপ ছাড়া সেলফিটি অনেক বেশি কালো আসতে পারে। পাশাপাশি মুখে হালকা একটি মিষ্টি ভাব রাখার চেষ্টা করুন। তবে আপনি ঠিক কেমন ধরনের এক্সপ্রেশন দিচ্ছেন তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে।
৬. সেলফি ছবি তোলার সময়ে চোখটাকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিন। কেননা সেলফির আকর্ষণীয় অংশই হল চোখজোড়া। তাই চোখের সাজটা যেন আকর্ষণীয় হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন। এক্ষেত্রে মাশকারা এবং আইলাইনারের যথাযথ ব্যবহার করতে পারেন। ছেলেরা আই লেন্সও ব্যবহার করতে পারেন। যারা চশ্মা পড়েন তারা দেখুন চশমাটা বাঁকা হয়ে নেই তো? করতে পারেন চশমা নিয়েই নানান ভঙ্গিমা।
৭. মেয়েরা ভালো সেলফি তোলার সময়ে লিপস্টিকের দিকটিও খেয়াল রাখা দরকার। ব্রাইট কালারের যেকোনো লিপস্টিক সেলফিটিকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত করে তুলতে সহায়ক।
৮. সেলফি তুলতে গিয়ে অনেক সময়ে ছবিটি ঝাপসা আসে। এক্ষেত্রে আপনি যদি কোনো যানবাহনে থাকেন তাহলে বিষয়টিকে এড়িয়ে চলতে যানটি থামার জন্য একটু অপেক্ষা করুন এবং তারপরে সেলফি তুলুন। অথবা হাতের কাঁপাকাঁপির কারণেও সেলফিটি ঝাপসা হতে পারে। এক্ষেত্রেও একটু সচেতন থেকে সেলফিটি তুলুন।
৯. সেলফিটি যেহেতু অনেক বেশি কাছ থেকে তোলা হয় তাই দাঁত বের করে ছবি তোলাকে এড়িয়ে চলুন। এক্ষেত্রে মুখ বন্ধ করে হালকা হাসি দিয়ে ছবিটি তোলার চেষ্টা করুন।
১০. সেলফি ভালো হওয়ার পেছনে একটি মূল কারণ হল আপনার হেয়ার স্টাইলটি। এর জন্য আপনার হেয়ার স্টাইলটি মুখের সাথে মানিয়ে সেট করুন এবং বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে সেলফি তুলে দেখুন কোনদিকে ছবিটি ভালো আসছে। পরে সেদিকে সেলফিটি ভালোভাবে তুলুন।
১১. সেলফি ভালো হওয়ার পেছনে আরেকটি মূল কারণ হল লাইট। আপনি যদি লাইটের আলোকে পেছনে রেখে ছবি তোলেন তাহলে সেলফিটি কালো আসবে। এর জন্য আলোর দিকে মুখ ফিরিয়ে মুখে লাইট নিয়ে সেলফিটি তুলুন তাহলে সেলফিটি অনেক পরিষ্কার আর ভালো আসবে।
১২. কোনো কাপল সেলফি বা ২-৩ জন একসাথে সেলফি তুলতে চাইলে ফ্রেমের দিকে খেয়াল রাখুন এবং একই রকম এক্সপ্রেশন দেয়ার চেষ্টা করুন।
১৩. যারা মোটা বা মুখ বড়, তারা ক্যামেরা উপরের দিকে তুলে মুখটা উঁচু করে ধরুন, তারপর ছবি তুলুন। আর যারা চিকন তারা ক্যামেরা নিচে ধরুন একটু। এতে মোটা দেখাবে।

একটি মজার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস, সাহায্য করবে সেলফি তুলতে

শুধু শুধু টিপস কেমন হয়ে যায় না? তাই বোনাস হিসেবে দিচ্ছি একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস। অ্যাপসটি সেলফিতে কাজে লাগতে পারে তাই দিলাম। অ্যাপসটি হল Selfie Camera । এতে রয়েছে টাইমার ক্যাপচার। টাইম সেট করে দিলে সেই সময়ে কোন বাটন চাপা ছাড়াই টপাস করে আপনার সুন্দর মুখখানার সেলফি উঠে যাবে  :lol:  । আরও একটা মজার অপশন হল চাইলে আপনি একসাথে ফ্রন্ট এবং ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে মোবাইলের সামনে পিছনে দুদিকের ছবিই তুলতে পারবেন। ধরেন একদিকে আপনি অন্যদিকে আপনার গার্ল ফ্রেন্ড  :-P যাই হোক মজা করলাম। মাইন্ড আবার খাইয়েন না।  ( ডাইরেক্ট লিংক)

-----গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাচ্ছেন? বেসিক অবস্থায় আপনার জন্য কিছু গাইডলাইন আর টিপস-----


টিউন করেছেন : হাসিবুর (HR)

সবাই মনে হয় ভালই আছেন? আমিও ভাল। যাই হোক আজ গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কিছু আলোচনা করব। বর্তমান সব কাজের মধ্যেই রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন। এটা নিয়ে কাজের চাহিদাও প্রচুর। তাই বেশিরভাগ মানুষই এটি শিখতে আগ্রহী। কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাব। সাজেশন দেবার মত কেউ নেই?
তাই অনেকেই এ কাজে প্রথমে হাত দিবে একটু সমস্যাই পড়ে। তাই যারা মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাচ্ছেন বা শিখবেন বলে ভাবছেন তাদের অর্থাৎ নতুনদের জন্যই এই টিউন আর কিছু ব্যাসিক গাইডলাইন আর অল্প কিছু টিপস। নতুনরা অনেকেই দেখি মাঝে মাঝেই কমন কিছু প্রশ্নও করে থাকে, তাই তাদের উদ্দেশ্যই কিছু কথা বলছি আজ। আশা করি, আপনাদের বেসিক অবস্থায় উপকারে আসবে।
  • আমি ডিজাইন জগৎে নতুন কি করে শিখব বা শুরু করব গ্রাফিক্স ডিজাইন?
  • কোথায় শিখলে ভাল হবে? কোন প্রকার কোর্স ছাড়াই আমি কিভাবে আমি এটা শিখতে পারি?
  • বেসিক অবস্থায় আমার করনীয় কি? ইত্যাদি…. ইত্যাদি……
তাই যারা এইসব প্রশ্ন করেন বা করবেন ভাবছেন বা এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের জন্যই আমার এই লেখা!! আমি যে একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার এই রকম না কিন্তু? আমিও আপনাদেরই মত একজন সাধারন গ্রাফিক ডিজাইনার। আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে এই গ্রাফিক ডিজাইন এর ওপরে তা নিয়েই একটু আলোচনা করলাম। কোন প্রকার ভুল হলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন এবং তা ক্ষমার চোখে দেখাটাই স্বাভাবিক কারন আমিও মানুষ আর তাই আমারও ভুল হতেই পারে। যাই হোক,
বিষয়গুলো যে শুধু আমি বানিয়ে-বানিয়ে বলতেছি তা না কিন্তু। আমি নিজেও কোন কোর্স করি নাই এই ডিজাইন শিখার জন্য। আমি নিজে যেভাবে এইসব কাজ শিখেছি তা নিয়েই এখানে বিস্তারিত বলতেছি।

এক নজরে উপরের প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নেওয়া যাক:

প্রশ্ন নং ১. আমি ডিজাইন জগৎে নতুন কি করে শিখব গ্রাফিক্স ডিজাইন?
উত্তরঃ
 নিচের টিপস্‌গুলো ফলো করুন। তাহলেই আপনি অনেক দূর পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারবেন।
প্রশ্ন নং ২. কোথায় কোর্স করে শিখলে ভাল হবে?
উত্তরঃ আরে ভাই! কোর্স যে করেই শিখতে হবে এমন কোন কথা আছে? আপনি নিজে নিজেই আগে শেখার চেষ্টা করে দেখুন। যদি তারপরও না হয় তখন দেখা যাবে বা ভাবা যাবে কোর্সের কথা। আর আগে পুরো লেখাটি ভালভাবে দেখুন বুঝুন তারপর সে অনুযায়ী কাজ করুন।
প্রশ্ন নং ৩. কোন প্রকার কোর্স ছাড়াই আমি কিভাবে আমি এটা শিখতে পারি?
উত্তরঃ অনেকই বলেন যে আমার গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স এত্ত টাকা দিয়ে করা সম্ভব না। কিন্তু তাই বলে আমাকে বসে থাকতে হবে? ভাই/বোন শুনুন, আগে বেসিক ভাবেই নিজে নিজে শিখার চেষ্টা করে যান। দেখবেন এক না এক সময় আপনি সফল হবেনই।
সূচনা: গ্রাফিক্স ডিজাইন খুব একটা সহজ বিষয় নয় যে আপনি চাইলেন আর শিখে গেলেন। এর জন্য প্রতিনিয়তই আপনাকে অনেক বেশি বেশি চেষ্টা করতে হবে আর থাকতে হবে সাধনা ও ধৈর্য্য।
যাই হোক, আমার এই পোস্টটির টিপসগুলো দেখেই যে আপনি প্রফেশনাল হয়ে উঠবেন এমন কিন্তু না বাট আপনি অনেক অগ্রসর হতে পারবেন এ বিষয়ে আমি সিউর। নিচের দেওয়া কয়েকটি টিপস দেখে সে অনুয়াযী কাজ করুন।
1. ভাল কোম্পানিগুলোর ভাল মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপরে করা বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল কিনে ফেলেন। তারপর যখন আপনি ওসব দেখে কিছুটা দক্ষ হয়ে উঠবেন এর উপরে তখন নিচের কয়েকটি পয়েন্ট অনুসরন করেন। টিউটোরিয়াল গুলো কিনতে বেশি খরচ হবে না প্রায় ৩৫০-৫০০৳ টাকার মধ্যেই পাবেন। যা একটি কোর্সের ১০০০০ থেকে ১৫০০০ হাজার এর তুলনায় অনেক কম।
2. ইউটিউবে নতুন নতুন ভার্সনের টিউটোরিয়াল সার্চ করে ও সব প্রায় ফলো করেন!
3. গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য ভাল-ভাল অনেক সাইট আছে ওইসব সাইটে প্রায় ভিজিট করুন, ওদের টিউটোরিয়াল ফলো করুন, তা বোঝার চেষ্টা করেন, প্রতিদিন সেসব প্রাকটিস করুন। আমার মতে আমার প্রথম পছন্দটা হল এই সাইটটা:http://psd.tutsplus.com/
4. প্রফেশনাল ডিজাইনারদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখুন। তাদের কাছে বড় বড় বিষয়গুলি নিয়ে আলাপ আলোচনা করুন। সবার সাজেশনই মাথায় রাখুন।
5. ফ্রি PSD পাওয়া য়ায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। সেসব ওয়েবসাইট থেকে ফাইলগুলো নামিয়ে নিয়ে তা ওপেন করে দেখুন তারা কীভাবে তাতে কাজগুলি করেছে। সে অনুযায়ী আপনি করার চেষ্টা করুন।
6. অনেক সময় ডিজাইনের জন্য মাথায় ভাল কোন আইডিয়া আসে না। তাই কখনও কোন আইডিয়ার জন্য graphicriver.net              এখানে থেকে ভাল ভাল ডিজাইনের আইডিয়া নিতে পারেন।
7. আপনার পছন্দ সবসময় মার্জিত রাখুন। সিমপল রাখার চেষ্টা করেন আপনার ডিজাইনকে। আপনার ডিজাইন সবার মাঝে শেয়ার করেন, সবার মতামত নেন।
8. সব সময় এইসব ডিজাইন এর সাথে আপ টু ডেট (Update) থাকার চেষ্টা করেন।
আশা করি, এইসব কাজ করতে করতে এক সময় আপনি দেখবেন অবশ্যই একজন ভাল মানের ডিজাইনার হতে পেরেছেন। এটি আপনাদের কাজে আসলেই আমার এ লেখা সফল। ভাল লাগলে অন্যদের সাথে এটি অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।